যাত্রাবাড়ী থানার চার পুলিশসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা
যাত্রাবাড়ী থানা
হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার চার পুলিশসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালতে মো. আলম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. আক্তার, এসআই আব্বাস উদ্দিন, এএসআই ওলিউল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রিয়াজুল এবং জনৈক আয়েশা আক্তার বেলি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে বাদী আলম হাওলাদারের ভাড়া করা বাড়ির গেটে জোরে ধাক্কা ও লাথি মারে। এ সময় আলম হাওলাদারের স্ত্রী রেশমা বেগম ঘরের ভেতর থেকে এসে আসামিদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে, তারা আইনের লোক বলে জানান। এই কথা শুনে রেশমা ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর আসামিরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেন। আসামিরা আলম হাওলাদারকে খুঁজতে থাকেন। তখন আলম হাওলাদারকে না পেয়ে ঘরের মালামাল তছনছ করে এবং এসআই আক্তার ওয়ারড্রব খুলে জমি বিক্রির দুই লাখ টাকা পকেটে ভরে নেন।
বিজ্ঞাপন
আলম হাওলাদার ও তার স্ত্রী রেশমাকে গালাগালি করতে থাকেন। তখন রেশমা প্রতিবাদ করলে এসআই আক্তার রেশমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। এএসআই ওলিউল ইসলাম রেশমার হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে এবং এসআই আব্বাস অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এরপর রেশমার ফোন দিয়ে এসআই আক্তার তার স্বামী আলম হাওলাদারকে ফোন দেন। তখন আলম হাওলাদার পরিচয় এবং কোন থানা এসেছেন জানতে চাইলে, এসআই আক্তার বলে তোকে পাইলে দেখাতাম আমরা কোন থানা থেকে এসেছি। তখন আক্তার বলেন, ঢাকায় ফিরে এসে পাঁচ লাখ টাকা দিবি, আর যদি না দিস তাহলে তোকে ক্রসফায়ার দিয়ে নদীতে ফেলে দেব। পরে মামলার বাদী আলম হাওলাদার বাসার সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন।
এরপর আসামিরা যাত্রাবাড়ী থানার লোক এবং অপর এক আসামি আয়েশা আক্তার বেলি তার ভাবি বলে পরিচয় জানতে পারেন। এখনও আসামিরা বিভিন্ন মোবাইলফোন কলের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছেন। আর টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দিয়ে নদীতে ফেলে দেবেন বলে হুমকি দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
টিএইচ/এফআর