গৃহকর্মী নির্যাতন: অব্যাহতি পেলেন সহকারী অধ্যাপক, মায়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড
ছবি- প্রতীকী / কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
দেড় দশক আগে রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে নির্যাতনের মামলায় বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ইসমত জাহান জনির মা পারভীন চৌধুরীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. গোলাম কবীর এ রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও চার মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিল। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৪ বছরের কিশোরী শিরিন শেওড়াপাড়ায় পারভীন চৌধুরীর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। কারণে-অকারণে পারভীন চৌধুরী এবং তার মেয়ে ইসমত জাহান জনি তাকে মারধর করতো। গরম পানির ছ্যাঁকা দিত। ঘরে আটকে রাখতো, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিত না। ২০১০ সালের ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর মারধর করে তাকে জখম করে। পরে ২৩ অক্টোবর পারভীন চৌধুরী তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বিকেল ৩টার দিকে শেওড়াপাড়ায় শিরিনকে কান্নাকাটি করতে দেখেন তার মায়ের পূর্বপরিচিত প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ। তিনি শিরিনের শরীরে ক্ষত দেখতে পান। এ ঘটনায় ওইদিনই আব্দুর রশিদ মিরপুর মডেল থানায় পারভীন চৌধুরী এবং ইসমত জাহান জনিকে আসামি করে মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলাটি তদন্ত করে পারভীন চৌধুরীকে অভিযুক্ত করে মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবু বকর মিয়া আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে, ইসমত জাহান জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়।
মামলার বিচার চলাকালে ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। পারভীন চৌধুরী নিজে এবং ইসমত জাহান মায়ের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
এনআর/এমজে