জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরও এক মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

বাকি সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি মামলার অগ্রগতি তুলে ধরে আরও দুই মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

এ সময় প্রসিকিউশনের উদ্দেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আমরা বিলম্ব করতে চাই না। আপনাদের দুই মাস নয়। এক মাস সময় দিতে চাই।

তখন প্রসিকিউশন থেকে বলা হয়, দুই মাস সময় দিলে ভালো হয়। ট্রাইব্যুনাল বলেন, দুই বছর দিলে আরও ভালো। পরে নতুন দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল-২।

এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ধার্য ছিল আজ। গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল। ওই দিনও দুই মাসের সময় চাওয়া হয়। তবে এক মাসের সময় দিয়ে আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

লক্ষ্মীপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় বর্তমানে গ্রেপ্তার রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন– লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন জাবেদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম। তাদের আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

এর আগে, ২৮ জুলাই অন্য মামলায় গ্রেপ্তার এই তিনজনকে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৬ জুলাই এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের গুলিতে চার শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন শহীদ হন। তারা হলেন– আল আসাদ আফনান, সাব্বির হোসেন রাসেল, কাউসার হোসেন, ওসমান গণি ও মো. সুজন। এর মধ্যে আফনান শহরের মাদাম ব্রিজ ও অন্যরা তমিজ মার্কেট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

এমআরআর/বিআরইউ