বাউন্সারের মারধরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু : দুইজনের দায় স্বীকার, কারাগারে ৫
ফাইল ছবি
গুলশানে ব্লিস আর্ট লাউঞ্জ নামে একটি বারের বাউন্সার ও কর্মচারীদের মারধরে দবিরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী নিহতের মামলায় দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় গ্রেপ্তার অপর পাঁচ আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) তিন দিনের রিমান্ড শেষে সাতজনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক এ বি সিদ্দিক। আসামি প্লাবন ও রাকিবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড এবং বারের ম্যানেজার শামিম আহমেদ সুমন, রাজু আহমেদ, তোফাজ্জল হোসেন তপু, কাউসার ও রুবেল মাহমুদকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক আসামি প্লাবনের এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ আসামি রাকিবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান।
প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক মোক্তার হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেন। গত বৃহস্পতিবার তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, কাজ শেষে গত ১৪ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে দবিরুল শেষে গুলশান-১ নম্বরের প্লট ৫১–এ অবস্থিত ব্লিস আর্ট লাউঞ্জ লিমিটেড রেস্টুরেন্টে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা রাতে তার ফোন বন্ধ পান। পরদিন ভোরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারেন, তিনি গুলশান-১ নম্বরের একটি ভবনের পেছনের রাস্তায় পড়ে আছেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথম স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার ২১ অক্টোবর গুলশান থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে হত্যার অভিযোগ সংযোজন করা হয়।
এনআর/এমএন