স্বীকারোক্তি দিতে রাজি দিহান, নেওয়া হয়েছে আদালতে
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পুরাতন ছবি
রাজধানীর কলাবাগানে ডলফিন রোডে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন ওরফে শাহনূরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ইফতেখার ফারদিন দিহানকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় ঢাকার চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ জবানবন্দি গ্রহণ করবেন বলে আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চত করেছেন। এর আগে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে দিহানকে কোর্টে হাজির করা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কালবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আনুশকার বাবা মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬। মামলায় তার অভিযোগ, মেয়েকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার এজহারে মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে তিনি ও তার স্ত্রী কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। বেলা সাড়ে ১১টায় আনুশকা কোচিংয়ের পেপার আনতে বাইরে যাচ্ছে বলে ফোনে তার মাকে জানায়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে আনুশকা বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এজহারে মো. আল আমিন বলেন, দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আনুশকার মাকে ফোন দেয়। সে জানায়, আনুশকা তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করায়। এ কথা শুনে আনুশকার মা ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
আনুশকার বাবা এজাহারে বলেন, তারা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছেন দিহান তার মেয়েকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে বেলা ১২টার দিকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে দিহান ফাঁকা বাসায় তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে আনুশকা অচেতন হয়ে পড়ে। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দিহান তার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।
টিএইচ/এইচকে