• পলাতক আসামির সাক্ষাৎকার প্রচার করা যায় কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন 
• তার বিরুদেব্ধ আদালতে সুয়োমোটো মামলা বিচারাধীন
• সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) একটি সাক্ষাতকারের ভিডিও সিডি হাইকোর্টে এসেছে। একাত্তর টিভিতে সাক্ষাতকারটি দিয়েছিলেন তিনি।  

রোববার একাত্তর টিভি কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সাক্ষাতকারের ভিডিও সিডিটি দাখিল করে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকারের ভিডিও সিডিটি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

পিকে হালদারকে নিয়ে উচ্চ আদালতে সুয়োমোটে মামলা বিচারাধীন থাকায় তার সাক্ষাৎকারে আদালত অবমাননাকর কিছু আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে এবং পলাতক আসামির সাক্ষাৎকার প্রচার করা যায় কি-না সে বিষয়ে আবেদন করে দুদক।

আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ২৮ ডিসেম্বর রাতে একজন পলাতক আসামির সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। এছাড়া তাদের রাতের টকশোতেও ওই আসামিকে লাইভে এনেছিল। আমাকেও সংযুক্ত করেছিল। আমি তার কথা শুনে লাইভ থেকে বেরিয়ে এসেছি। কারণ, আমি তো পলাতক আসামির সঙ্গে টকশো করতে পারি না। প্রথম কথা হলো, পিকে হালদার পলাতক আর দ্বিতীয় হলো তার বিষয়ে এই আদালতে একটা সুয়োমোটো মামলা বিচারাধীন। এ অবস্থায় তার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে কী আছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এই আদালত সেই ভিডিও সাক্ষাৎকার তলব করে দেখতে পারেন।  

পরে আদালতে পিকে হালদারসহ সব দণ্ডিত পলাতক আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন এবং সাক্ষাৎকারের ভিডিও সিডি তলব করেন।

১৮ নভেম্বর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

ওই আদেশ অনুসারে দুদক গত ২ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। এরপর ৯ ডিসেম্বর পিকে হালদারের আত্মীয় পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক অমিতাভ অধিকারী এবং পিকে হালদারের সাবেক সহকর্মী ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জল কুমার নন্দীকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়।  

প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

পরে দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। 

এমএইচডি/এনএফ