ফাইল ছবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার দুটির আদেশ আজ হচ্ছে না।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিপন মিয়া বলেন, বিচারক মামলা দুইটির বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। কখন বা কবে দেবেন সে বিষয়েও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি। 

আগামীকাল (১২ জানুয়ারি) আদেশ হতে পারে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নথি বিচারকের কাছে থাকায় এবং তিনি আদেশ না দেওয়ায় আমি এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে একটি করেছেন কাজী আনিসুর রহমান ও অপরটি অ্যাডভোকেট মো. সারওয়ার আলম।

এর আগে শনিবার ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ ডিএসসিসির অভিযানে উচ্ছেদ হওয়া দোকান মালিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধন করা হয়। সেখানে উপস্থিত থেকে সংস্থাটির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেছিলেন, ‘ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’

মানববন্ধনে তিনি বলেন, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। রাঘব বোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতি মুক্ত করুন, তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিন। মেয়র তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন। এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন। অপরদিকে অর্থের অভাবে করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’

সাবেক এ মেয়র আরও বলেন, ‘যে স্থানটির কথা বলা হচ্ছে সে জায়গাটি দখল ছিল, এখানে এটি একটি উচ্ছেদ কার্যক্রম। কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে এমন মন্তব্য করেন তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। তবে আমার এই দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।’

টিএইচ/এমএইচএস