ফাইল ছবি

অস্ত্র মামলায় গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক মিয়া প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারা ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

গত ২২ নভেম্বর সকালে তার বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। ২২ নভেম্বর এসব মামলায় তাকে ১৮ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর তার ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘিরে রাখে র‌্যাব। এরপর ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির। এ সময় জব্দ করা হয় দুটি বিলাসবহুল গাড়ি, প্রতিটির দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। পরে র‍্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনের পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে।

মামলা সূত্রে পুলিশ জানায়, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। তাছাড়া ১০ দেশের মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। মোট ৩ মামলায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও জানায়, ২০০১ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রাজউকের ডিআইটি প্রজেক্টে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক প্লট নিজের করে নেন। এভাবে রাজউক থেকে প্লট সংক্রান্ত সরকারি নথিপত্র চুরি করে এবং অবৈধভাবে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাফতরিক সিল ব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচলে, বাড্ডায়, নিকুঞ্জে, উত্তরায় এবং কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক প্লটের মালিক হন।

অভিযোগ আছে, তিনি বর্তমানে নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের অধিকারী। তার বিরুদ্ধে থাকা ভূমি জালিয়াতির ৭০টি রাজউকের নথি ২০১৯ সালে নিজ কার্যালয়ে আইনবহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখা সংক্রান্ত একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া অনৈতিকভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেটাও চলমান রয়েছে।

টিএইচ/এমএইচএস