হাইকোর্টের সংগৃহীত ছবি

এখন থেকে কোনো দুর্নীতি মামলা সরকার প্রত্যাহারের সুপারিশ করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) এ রায় দিলেও বিষয়টি রোববার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশ পেয়েছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান রায়ের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

এ রায়কে যুগান্তকারী অ্যাখ্যা দিয়ে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, রায়ের মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালত দুদকের মামলার বিষয়ে কোনো ধরনের নাক না গলানোর সর্তকবাতা দিয়েছেন। দুদকের মামলা সরকার চাইলেও যে প্রত্যাহারের সুপারিশ করতে পারবে না, এ নিয়ে হাইকোর্টের রায় এটিই প্রথম বলেও জানান তিনি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১/১১ এর পর ফৌজদারিসহ অসংখ্য মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী এ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। সে সময় দুদকের মামলাও প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। তখন অনেক ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার হলেও দুদকের মামলায় আইনি প্রশ্ন জড়িত থাকার কারণে কোনো মামলা প্রত্যাহার হয়নি। কিন্তু ওই সময়ে সিলেটের ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ার‌ম্যানের বিরুদ্ধে ৫টি টিন চুরির অভিযোগে দুদকের মামলা প্রত্যাহারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপারিশ করে। আদালতও মামলাটি চূড়ান্তভাবে প্রত্যাহারের আদেশ দেন।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। আবেদনে বলা হয়, যে প্রক্রিয়ায় এটি করা হয়েছে তা সঠিক আইন মেনে হয়নি। সে আবেদনের ওপর হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বৃহস্পতিবার।

রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ২০০৪ সালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সংস্থা। এর ফলে দুদকের অনুমোদিত কোনো মামলা প্রত্যাহারে কেউ কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামির আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, ভুক্তভোগী চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, সে বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এমএইচডি/জেডএস