পুলিশের হাতে গ্রেফতার সাবেক ডিআইজি মিজান: ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি (রোববার) দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন আদালতে সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

ডিআইজি মিজান ছাড়া এই মামলার অপর ৩ আসামি হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। গত ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইজি মিজানের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ১ জুলাই ডিআইজি মিজান হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এরপর একইদিন শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ২ জুলাই ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এরপর তার পক্ষে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

২০১৯ সালের ৪ জুলাই ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উভয় আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়।

টিএইচ/জেডএস