ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

সাভারের আশুলিয়ায় কানাডিয়ান কলেজে ভাঙচুর ও চুরির মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশিরসহ ১৪ জনকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।  

অপর অভিযুক্তরা হলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী বাবু, গণস্বাস্থ্যর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শাহ আলম, দোলোয়ার হোসেন, ইকরাম হোসেন, আওলাদ হোসেন, আরিফ, লুৎফর রহমান, রাসেল, অনিল কুমার ভৌমিক, সোহেল রানা, আবুল কালাম আজাদ ও সাদ্দাম হোসেন।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) চার্জশিট সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, গত ৯ নভেম্বর চার্জশিটটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এতে বাদীর আপত্তি রয়েছে বলে আদালতে লিখিত অভিযোগ করেন। আদালত শুনানির জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ চার্জশিটে বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আরেক আসামি লেহাজের সঠিক নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এজন্য ডা. জাফরুল্লাহ ও লেহাজকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

আসামি লেহাজকে গ্রেপ্তার করা গেলে বা নাম-ঠিকানা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হবে। বাকি ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ  ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে উল্লেখ করেন।  

গত ২০১৯ সালের ১২ জুলাই কানাডিয়ান কলেজের পরিচালক মোহাম্মদ আলী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ১৬ জনকে আসামি আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে মোহাম্মদ আলী বলেন, তিনি ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে আশুলিয়া থানা এলাকায় ৪ দশমিক ২৪ একর সম্পত্তি কিনে চারপাশে পাকা বাউন্ডারিওয়াল ও গেইট নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছিলেন। তারা ওই জমিতে কানাডিয়ান কলেজ প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করছিলেন। সেখানে তাদের কলেজের আরও একটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছিল। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অপর আসামিরা মিলে তাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে পাঁয়তারাসহ বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।

গত ২০১৯ সালের ১০ জুলাই আসামিরা ভেকু নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। বাদীর সম্পত্তির মূল গেইট ও বাউন্ডারিওয়াল ভাঙচুর করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের জখম করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

আরও বলা হয়, এসময় অভিযুক্তরা অফিসে থাকা তিনটি কম্পিউটার, ৮২টি চেয়ার, ২৮টি সিলিংফ্যান, তিনটি ফায়ার এক্সিট ডিভাইস চুরি করে ট্রাকযোগে নিয়ে যান। যার মোট মূল্য তিন লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়া আসামিরা পালানোর সময় কলেজের আলমারি ভেঙে শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্রসহ অন্যান্য মূল্যবান কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যান।

টিএইচ/এসআরএস