কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা মামলার রায় ১৭ জানুয়ারি
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর মা শামসুন্নাহার ও ছেলে শাওনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়
রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলাকেটে হত্যা মামলার রায় আগামী রোববার (১৭ জানুয়ারি)। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষনা করবেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাহউদ্দিন হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মা শামসুন্নাহারকে নামাজরত অবস্থায় হত্যা করা হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে ছেলে শাওনকেও হত্যা করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আসামি আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তিনি আরও বলেন, মূলত আসামি আব্দুল করিম ছিলেন বেপরোয়া। একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় স্ত্রী শামসুন্নাহার এর প্রতিবাদ করেন। পারিবারিক কলহ ও সম্পত্তির লোভে তাদের হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্যপ্রমাণে আমরা সম্পূর্ণভাবে বিষয়গুলো প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা আশা করছি, সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে।
বিজ্ঞাপন
মামলার রায় নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান শাহিন।
মামলার আসামিরা হলেন- নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।
গত ১০ জানুয়ারি রাষ্টপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক মো. আলী হোসেন আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/১ নম্বর বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থী শাওনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আদা, রসুন ও পেঁয়াজ আমদানিকারক।
ঘটনায় পরদিন ২ নভেম্বর নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
টিএইচ/এসআরএস