তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর / ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সাত জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। 
 
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে রোববার (১৭ জানুয়ারি) জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে নথি পর্যালোচনা করে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানান।

মামলার ‌অপর আসামিরা হলেন—বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি রবিউল আওয়াল সোহেল, জামায়াতে ইসলামীর নেতা হাফেজ আফজাল হোসেন, মজিবুর রহমান, আব্দুল করিম ও আব্দুল হালিম। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী রাজধানীর মিরপুর মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সে কেনাকাটা করতে যান। এ সময় এক যুবক এসে সালাম দিয়ে বলে, ‘আপনি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী? আপনি কি সেই ব্যক্তি, যিনি খালেদ জিয়া, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’ ওই যুবকের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ হয় এবি সিদ্দিকীর। তিনি দ্রুত গাড়িতে এসে বসেন। ওই যুবক গাড়ি থামাতে বলেন। চালক গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই যুবকের সহযোগীরা ‘ধর’ ‘ধর’ বলে দৌড়াতে থাকে। তারা বলে, ‘ওই শালাকে (এবি সিদ্দিকী) ধরে রবিউল স্যারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তারেক রহমানের নামে আগেও কয়েকটি মামলা করেছে। ওকে আজকে পেয়েছি। যে করেই হোক নিয়ে যেতে হবে, হাতছাড়া করা যাবে না।’ বাদী পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তারা সবাই রবিউল আলম সোহেলের ক‌্যাডার। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাদীকে ধরে রবিউল টাওয়ারে নিয়ে খুন করা।

টিএইচ/এসএম