আট অপহরণকারীর ১৫ বছর করে কারাদণ্ড
এক আসামিকে আদালতে হাজির করা হয় বাকিরা পলাতক/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
রাজধানী বংশালের ইমরান নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আট জনের ১৫ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. জুয়েল মিয়া, মো. বাপ্পি, তানজিদ শিকদার ওরফে প্রান্ত, সাঈদ হোসেন হোসেন ওরফে রনি, মো. আব্দুল্লাহ রাহিম ওরফে সবুজ, নুরুল ইসলাম ওরফে রবিন, মো. ইমরান হোসেন ও মো. গোলাম হোসেন ওরফে রাকিব।
সাঈদ হোসেন ওরফে রনি ছাড়া বাকি সকল আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিচারক রায়ের আদেশে উল্লেখ করেন, দণ্ডবিধির ৩৬৪ ধারায় আট আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছর এবং ৩৮৫ ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তবে দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায়ের আদেশে উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইমরান বাসা থেকে সাত রওজা এলাকার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। রাত ১১টার দিকে একটি মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে ইমরানকে ফেরত পেতে তিন কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থাকে বিষয়টি জানালে অপহরণকারীরা ইমরানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরের দিন (৩ জুলাই) অপহরণকারীরা আবারও ফোন দিয়ে টাকাগুলো তাদের সুবিধাজনক স্থানে না রাখলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ইমরানের বাবা আসলাম তাদের ৮০ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। ওই দিন বংশাল থানায় একটি জিডি করা হয়। পরে ইমরানের পরিবার র্যাব-১০ এর সঙ্গে যোগাযোগ করে।
র্যাবের নির্দেশে ইমরানের বাবা অপহরণকারীদের সঙ্গে টাকা দেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করে। অপহরণকারীরা টাকাগুলো কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিঞ্জিরা ফেরীঘাটে নৌকার মধ্যে রেখে আসতে বলে। ইমরানের বাবা সেখানে টাকা রেখে আসে। র্যাব সেখানে সাদা পোশাকে অবস্থান নেয়। এক অপহরণকারী টাকাগুলো আনতে গেলে র্যাব টাকার ব্যাগসহ তাকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য মতে র্যাব আরও ছয়জনকে বংশাল থানার ৯২, আগা সাদেক রোড এলাকা থেকে আটক করে। অপহরণকারীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নির্মাণাধীন হাবিব টাওয়ারের নীচ তলা থেকে ইমরানকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় ৪ জুলাই ইমরানের চাচা ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান বংশাল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
টিএইচ/এফআর/ওএফ