শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধে মনিটরিং কমিটি গঠনের পরামর্শ
দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধে সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করতে গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে সাইফুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী বলেন, শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধে হাইকোর্ট কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, দেশে আইন থাকার পরেও দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি করতে পারে। এসব নির্যাতনের অভিযোগ যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্যাতনকারীদের যেন কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়। শাস্তি নিশ্চিত করা হলে সেগুলো মিডিয়ায় প্রচার নিশ্চিত করতে হবে।
২০১৮ সালে কুমিল্লার বিপুলসার হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী নোমান হোসেনকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক এমদাদ হোসেন শারীরিক নির্যাতন করেন। এ ঘটনার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। এরপর আদালত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ ঘটনায় আদালতে পক্ষভুক্ত হয় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
এমএইচডি/এসকেডি