আড়াই কোটি টাকার একটি ঋণ মঞ্জুরের ঘটনায় ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ওই অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত ডকুমেন্টসহ ম্যানেজারকে আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টার সময় তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. লুৎফর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাবিবুর রহমান।

পরে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, লালমাটিয়ার গ্রিন টেক সার্ভিসের সত্ত্বাধিকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এ রিট করেন। আবেদনকারীর দাবি, বিগত ২০১৭ সালে একটি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তাকে জানায় যে তার নামে একটি মুদারাবা ঋণ হিসাব চলমান।

এরপর তিনি জানতে পারেন তার পূর্বের কর্মস্থলের লোকজন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, দিলকুশা শাখায় তার নামে কাগজপত্রাদি দাখিল করে লোন হিসেবে গত ২০১৩ সালের আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। বিগত প্রায় চার বছরে এই ঋণ হিসাবে বর্তমান স্থিতি সুদ মূলে প্রায় ৪,৫০,০০,০০০/- টাকা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি গত ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল দুদকে আবদেন করেন। দুদক ব্যক্তিগত বিষয় বলে বিষয়টির তদন্ত শেষ করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

আমিন উদ্দিন মানিক আরও জানান, আদালতের অভিমত হলো ব্যাংকের এই টাকা পাবলিক মানি। এ কারণে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ ম্যানেজারকে হাজির হওয়ার নির্দেশ এবং দুদক ব্যাংকের টাকাকে কেন ব্যক্তিগত টাকা বলে বাদীর আবেদন তদন্ত করেনি সেই মর্মে দুদককে একই দিন ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এমএইচডি/এসএম