মৌরি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?
বিশেষজ্ঞের একটি অংশের মতে, মৌরি খেলে ক্ষুধা কমে যায়, যে কারণে এটি পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই তত্ত্বটি ৯জন সুস্থ নারীর ওপর করা একটি ছোট গবেষণা থেকে এসেছে, যাদের দুপুরের খাবারের আগে কিছুদিন ধরে মৌরি চা পান করতে দেওয়া হয়েছিল। গবেষণার ফল হিসেবে জানানো হয় যে নারীরা মৌরি চা পান করেছিলেন তাদের ক্ষুধা বোধ কম হওয়ায়, যারা প্লাসিবো পান করেন তাদের থেকে তারা কম ক্যালোরি গ্রহণ করেছিলেন।
যদিও অন্য কিছু গবেষণায় একদম বিপরীত ফল পাওয়া যায়। একটি গবেষণায় ৪৭ জন মহিলাকে ১২ সপ্তাহ ধরে মৌরি ভেজানো পানি দেওয়া হয়, তাদের ক্ষুধা কিন্তু কমেনি। বরং তাদের অল্প ওজন বাড়ে। মৌরি সত্যি ওজন কমাতে সাহায্য করে কিনা তা নিয়ে শেষ কথা বলতে আরও গবেষণার প্রয়োজন। মৌরি যে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে তার কোনো সরাসরি প্রমাণ নেই।
বিজ্ঞাপন
মৌরির পানি প্রতিদিন খাওয়া কি সবার জন্য নিরাপদ?
মৌরির মধ্যে ইস্ট্রোজেনের কিছু সুস্পষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং খুব বেশি সময় ধরে নিয়মিত খেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যদিও, ক্ষতিকর বলে মনে করা হয় না, গর্ভবতী নারীদের মৌরি খাওয়া সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে বেশী মাত্রায় মৌরি খেলে ভ্রূণের কোষে বিষক্রিয়া হতে পারে। যারা হরমোন চিকিৎসা বা ক্যান্সার চিকিৎসা করাচ্ছেন তারা ডায়েটে নিয়মিত মৌরি রাখতে চাইলে তাদের ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন কারণ এটি অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে মিশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।
বিজ্ঞাপন
বাচ্চা জন্মের পর ওজন কমানোর জন্য মৌরি কি নিরাপদ?
গবেষকরা জানিয়েছেন, যে সমস্ত মায়েরা স্তন পান করান বা বুকের দুধ খাওয়ান তারা মৌরি খেলে কিছু সাইড এফেক্টস হতে পারে। স্তনদানকারী মায়েরা মৌরি দেওয়া চা খেলে বাচ্চার ওজন বাড়তে পারে না, এরকমও দেখা গেছে।
ভারতের অমৃতা সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদ (ĀCĀRA) এর রিসার্চ ডিরেক্টর ডঃ পি রামমনোহর বলেন, “আয়ূর্বেদ অনুসারে স্থূলতা হচ্ছে এমন একটা অবস্থা যা সারানো কঠিন। ভিতরের (খাওয়ার) বা বাইরের কোনরকম ওষুধেই এই সমস্যার সমাধান হয় না। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, লাইফস্টাইল ও সঠিক ডায়েটই এর চিকিৎসা পদ্ধতি। খাওয়ার ওষুধ বা বাইরে ব্যবহার করার ওষুধ সবই সাপোর্টিভ। রোগী যত বেশি করে প্রোটোকল বা নিয়ম মেনে চলবেন, ফলাফল তত ভালো হবে। স্থূলতার চিকিৎসার জন্য আলাদা চিকিৎসা প্রোটোকলও মেনে চলা প্রয়োজন।”