ছোট শিশুরা অল্পতেই জেদ করে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে তা অতিরিক্ত হয়ে যায়। বাচ্চারা কখন যে ঠিক কীরকম আচরণ করবে, তা বোঝা মুশকিল। এই তারা খুব শান্ত, মুহূর্তেই শুরু দুরন্তপনা। এককথায় তাদের মতিগতি বোঝা অসম্ভব। 

ধরুন বেশ কয়েকজন ছোট শিশু এক সঙ্গে খেলা করছে। হঠাৎ অনেক বাচ্চা একে অপরের সঙ্গে মারপিট শুরু করে দেয়। সন্তান এমন আচরণ করলে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। তাহলেই তাদের রাগ-জেদ সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

১. সবার সামনে আপনার সন্তান কাউকে মারধর করতে শুরু করলে অস্বস্তিবোধ হবে তা স্বাভাবিক। কিন্তু ভুলেও তাদের কাছে আপনার অস্বস্তি প্রকাশ করবেন না। ছোট শিশু ওপর চিৎকার করবেন না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন তার রেগে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কাউকে মারধর করা যাবে না।

২. অনেক সময় ক্লান্ত থাকলে বা শিশুর ঘুম পেলে সে এমন অস্থির হয়ে ওঠে। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে না পারায় মারধর করতে শুরু করে। তাই আগে বোঝার চেষ্টা করুন কেন সে হঠাৎ খেলার সঙ্গীকে মারধর করেছে।

৩. অযথা উত্তেজিত হওয়া যাবে না। ছোট শিশুকে ভুলেও বকাঝকা করবেন না। আর কোনোদিন যাতে সঙ্গীকে মারধর না করে, সে কথা ভালো করে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

৪. চিৎকার চেচামেচি বা মারধর নয়। ভালোবাসাই পারে আপনার শিশুকে সবদিক থেকে উপযুক্ত করে তুলতে। তাই সন্তান যখন অত্যন্ত রেগে যায় তখন তাকে ভালো করে বুকে জড়িয়ে ধরুন।

৫. আপনার সন্তানের রাগ কমার পর আপনার গুরুদায়িত্ব রয়েছে। তাকে বোঝান আপনি রাগারাগি করেননি ঠিকই, কিন্তু এমন আচরণ মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

মনে রাখবেন, বাবা মায়ের মধ্যে সম্পর্ক বা বাড়ির অন্যান্যদের সঙ্গে সবার কেমন ব্যবহার আচরণ তা দেখেই শিশুরা শেখে। তাই তাদের সামনে ঝগড়া চিৎকার চেঁচামেচি করবেন না। পরিবার কিংবা বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাই আপনার সন্তানকে সারাজীবন এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তাই অযথা সন্তানের ওপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেবেন না। তাকে তার মতো করে সামাল দিন।

এমএন