আজকাল প্রত্যেকেই নানা সমস্যায় ভুগছেন। আর তাই নিজের শরীর নিয়ে কোনো অবহেলা করলে চলবে না। আমরা এখন বিষাক্ত পৃথিবীতে বাস করছি। যেখানে প্রত্যেকেরই নিত্য নতুন রোগ লেগে আছে। কোনো মানুষই সম্পূর্ণ সুস্থ নন। এছাড়াও করোনার সমস্যাতো রয়েছে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ওবেসিটির মতো সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। যেখান থেকে বাড়ে হৃদরোগের আশঙ্কা। আর তাই আগে থেকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বেশি প্রয়োজন

আজকাল ২৭-৬০ সবারই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের কারণে খুব কম বয়সেই অনেক রকম সমস্যা আসছে। বংশগত রোগ তো রয়েছে এছাড়াও আজকাল বেশিরভাগ মানুষই কম ঘুমে অভ্যস্ত। রাতে জেগে দিনে ঘুমান। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, ওজন বাড়া সবই রয়েছে। এই সবের মিলিত ফল হল হৃদরোগ। আগে থেকে পরীক্ষা করালে আপনি নিজে যেমন সুস্থ থাকবেন তেমনই কিন্তু টাকাও বাঁচবে। 

আগে থেকে সতর্ক থাকা; নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে জটিল কোনো রোগ যদি হয়ে থাকে তা আগেই ধরা পড়ে। যেমন ক্যানসার কিংবা কিডনির কোনো সমস্যা। ফলে আগে থেকেই চিকিৎসা শুরু করা যায়। নিজেও সতর্ক থাকবেন সেই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকে।

অযথা জটিলতা হবে না; কোনো রোগ ফেলে রাখলে সেখান থেকে জটিলতা বাড়ে। শরীরের মধ্যে কোনো অস্বস্তি দীর্ঘদিন ধরে চেপে রাখা ভালো নয়। আগে থেকে পরীক্ষা হলে এবং ওষুধ পড়লে আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আয়ু বাড়ে; সুদীর্ঘ নীরোগ থাকতে কে আর না চায়! যে কারণে এসব স্বাস্থ্য পরীক্ষাও ভীষণ জরুরি। চেকআপ করালে আপনি মনের দিক থেকে থাকবেন নিশ্চিন্ত। সেই সঙ্গে চিকিৎসকও আপনাকে সৎপরামর্শ দেবেন। এতে আপনি থাকবেন মানসিকভাবে সুস্থ।

অনেকেরই পরিবারের ইতিহাসে বিভিন্ন রোগ-সমস্যা থাকে। তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। রুটিন চেকআপ অবশ্যই করাবেন। তাহলে ভবিষ্যতে অনেক রকম সমস্যা থেকে থাকবেন মুক্ত।

সূত্র : টিভি৯ বাংলা

এসকেডি