বইমেলায় সাড়া ফেলেছে ‘নিলী-নীলিমা’ ও ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় লেখক আমিনুল ইসলামের লেখা নতুন দুইটি বই। উপন্যাস ‘নিলী নীলিমা’ ও ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’।
জীবন কতটা নির্মম হতে পারে? অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে? ক্ষমতাবানদের ছায়ায় যারা বেঁচে থাকে, তারা কি কখনো ন্যায়বিচার পায়?
বিজ্ঞাপন
এসব প্রশ্নের খোঁজে আমিনুল ইসলামের উপন্যাস ‘নিলী নীলিমা’ ইতোমধ্যেই পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
অন্যদিকে জুলাই আন্দোলন দিয়ে লেখা ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’ পাঠকদের ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনের সেই দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
শুধু বইমেলাতেই নয়, দুইটি বই রকমারির বেস্ট সেলার তালিকাতেও স্থান করে নিয়েছে। যারা মেলায় গিয়ে বই দুটি নিতে পারছেন না তারা অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে বইটি অর্ডার করে সংগ্রহ করছেন।
বই দুইটি প্রকাশ করেছে- অন্বেষা প্রকাশন। বইমেলায় অন্বেষার ৭০৯ থেকে ৭১২ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রকমারি সহ অন্যান্য অন-লাইন প্লাটফর্ম থেকেও বইটি সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
‘নিলী নীলিমা’ বইটির মুদ্রিত মূল্য ৩৫০ টাকা ও ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’ বইটি পাওয়া যাচ্ছে ২৪০ টাকায়।
নিজের দুইটি বই প্রসঙ্গে লেখক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজে ক্ষমতাবানদের ছায়ায় যারা বেঁচে থাকে, তারা কি কখনো ন্যায়বিচার পায়? এমনও অসংখ্য প্রশ্নের খোঁজেই ‘নিলী নীলিমা’ উপন্যাস। এটা কেবল একজন নারীর সংগ্রামের গল্প নয়, বরং আমাদের পুরো সমাজের চেহারা উন্মোচন করে। ইতোমধ্যেই পাঠকমহল থেকে বইটি সম্পর্কে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। বইমেলায় ‘নিলী-নীলিমা’র প্রথম মুদ্রণ শেষে দ্বিতীয় মুদ্রণও শেষের পথে। পাঠকদের এই ভালোবাসাই তো লেখকের শক্তি।
লেখক আমিনুল ইসলাম ইউরোপের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। জুলাইয়ের আন্দোলনের আগমুহূর্তে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। এরপর সেই আন্দোলনেই জড়িয়ে যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে রাজপথ, সকল জায়গাতেই সক্রিয় ছিলেন এই লেখক।
তার সেই অভিজ্ঞতার গল্পই উঠে এসেছে ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’ বইয়ে। যেখানে লেখক তার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সে সময়ে দেশের দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার আলোচিত কিছু প্রতিবেদনও তুলে এনেছেন প্রাসঙ্গিকভাবে।
এ বিষয়ে ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের সকল যৌক্তিক দাবির সঙ্গে সবসময়ই একমত ছিলাম। শিক্ষকতা পেশার জন্য দেশের বাইরে থাকা হলেও বছরে একটা নির্দিষ্ট সময় এই ছাত্রদের টানেই দেশে ফিরে আসি। চেষ্টা করি তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর, তাদের সমস্যা, ভালো-মন্দ দিকগুলো তুলে ধরার। জুলাইয়ে যখন ছাত্ররা রাজপথ উত্তাল করে তুললো, তখন আমিও চেষ্টা করে গেছি সর্বাত্মক তাদের পাশে থাকার। বিভিন্ন হুমকি ছিল, ক্ষমতাসীনদের চাপ ছিল, সেসবকে উপেক্ষা করেই আওয়াজ তুলেছি। আমি জানতাম, যদি এই আন্দোলন সফল না হতো, তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগ সরকার আমাকেও নানাভাবে হেনস্তায় ফেলত। তবে সরকারের সেই রক্তচক্ষুকে পরোয়া না করেই আমি কলম তুলে নিয়েছি, দুর্বার সেই আন্দোলন নিয়েই লিখেছি ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’। বইমেলা, রকমারিসহ অন্যান্য প্লাটফর্মেও পাঠকরা বইটি কিনছেন, পড়ছেন, দুর্বার সেই আন্দোলনের দিনে বারবার নিজেদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এনএইচ