সোমবার এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন ভোরের কাগজের সাংবাদিকরা
আজকের মধ্যে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করে নিয়োগপত্র না দিলে আগামীকাল সোমবার এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ভোরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিকরা। এরপরও দাবি আদায় না হলে পরবর্তী সময়ে মালিকপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মালিক সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে ভোরের কাগজ পত্রিকা অফিসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ভোরের কাগজ পত্রিকায় বিরাজমান বৈষম্য অতি দ্রুত দূর করতে হবে। সব সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করে নিয়োগপত্র দিতে হবে। একইসঙ্গে ওয়েজ বোর্ডে প্রাপ্য সমস্ত বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা বৈষম্যের শিকার। পত্রিকাটি সরকারের কাছ থেকে ভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও সাংবাদিকরা তাদের ন্যায্য অধিকারটুকু পায়নি।
খোন্দকার কাওছার হোসেন বলেন, আমরা গত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। না হলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও প্রকাশককে জানানো হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, দাবি মেনে নেওয়ার কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এমনকি আলোচনার কোনো প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি। কিন্তু এ পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যা আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক বলে মনে করি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির পালনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আজকের মধ্যে যদি অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করে নিয়োগপত্র না দেওয়া হয় তাহলে আগামীকাল (সোমবার) ভোরের কাগজ পত্রিকার সবাই ১ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবে। এরপরও যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় তবে মালিক সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। একইসঙ্গে এ কর্মসূচির সংবাদ ভোরের কাগজের প্রথম পাতায় ছবিসহ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পত্রিকাটির সার্কুলেশন ইনচার্জ তসলিম চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১১টি ইনক্রিমেন্ট হওয়ার কথা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মাত্র তিনটি ইনক্রিমেন্ট হয়েছে। এরপর আবার একটি ইনক্রিমেন্ট সেপ্টেম্বর মাসে পাস হলেও ডিসেম্বর মাসে টাকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে আমাদের কথা কখনো মালিকপক্ষ চিন্তাই করেনি। তারা সবসময় নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত ছিল। তাই এখন আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও মন্তব্য করেন তসলিম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারাও একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন।
আরএইচটি/এসএসএইচ