গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও সব লিঙ্গবৈচিত্র্য সম্পন্ন মানুষের সমান অধিকার, সুযোগ ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি বাস্তবভিত্তিক নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস’ এই কর্মশালার আয়োজন করেছে। যেখানে ‘গণমাধ্যমে লিঙ্গ বৈচিত্র্য ও প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক নীতিমালা’ প্রণয়নের ব্যবহারিক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

কর্মশালায় ডিবিসি নিউজ, আইপি নিউজ, দ্যা ডেইলি অবজার্ভার, চ্যানেল আই, ঢাকা পোস্ট, দ্যা পোস্ট, ঢাকা ট্রিবিউন, দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলাভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা প্রতিবন্ধিতা, লিঙ্গবৈচিত্র্য সম্পন্ন মানুষ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা, গণমাধ্যমে তাদের অংশগ্রহণে বাধা ও অতিক্রমের উপায়সহ, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। 

ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, এখনো অধিকাংশ সংবাদপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধিতা ও লিঙ্গবৈচিত্র্য বিষয়ক স্পষ্ট নীতিমালা নেই, ফলে সংবাদ উপস্থাপনা, নিয়োগ, কর্মপরিবেশ এবং সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না। 

গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও লিঙ্গবৈচিত্র্য সম্পন্ন মানুষের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন ভয়েসের প্রোগ্রাম অফিসার প্রিয়তা ত্রিপুরা। তিনি বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না। এখানে যা প্রতিফলিত হয়, সমাজে তার প্রভাব পড়ে। তাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও লিঙ্গবৈচিত্র্য সম্পন্ন মানুষদের ইতিবাচক গল্পগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরলে, সমাজের প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো দূর হবে।”

অংশগ্রহণকারীরা বলেন, অন্তর্ভুক্তি ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও লিঙ্গবৈচিত্র্য সম্পন্ন মানুষের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা উচিত। বৈষম্য সৃষ্টিকারী কারণগুলো পরিবর্তন করার কোনো বিকল্প নেই।

এমজে