চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, রিভিউ এবং কন্টেমের আদেশের ভিত্তিতে পাট অধিদপ্তরের ১২৪ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু উফশী প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রোকনুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উচ্চ ফলনশীল পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাটপচন শীর্ষক (উফশী) সমাপ্ত প্রকল্পে আমরা কর্মরত ছিলাম। প্রকল্পের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি সব বিধিবিধান মেনে চাকরিতে যোগদান করি। দীর্ঘ ছয় বছর প্রকল্পের চাকরি করে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রকল্পে ডিপিপিতে মেয়াদ শেষে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কথা উল্লেখ রয়েছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পাট অধিদপ্তর থেকে ডিপিপি অনুযায়ী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর না হওয়ায় আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন করি। পরে ১৫৮ জন পিটিশনারকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের রায়/আদেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, আদেশের পরে ১৫৮ জনের মধ্যে মাত্র ২৪ জনকে একতরফাভাবে পাট অধিদপ্তর রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে। অথচ পাট অধিদপ্তরের প্রায় ৪ শতাধিক পদ শূন্য আছে। উচ্চ আদালতের রায়/আদেশের পর পিটিশনারদের একটি প্রতিনিধি দল পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে গেলে তার ব্যক্তিগত সহকারী আবেদনপত্র জমা নিতে অস্বীকৃতি জানান। এ অবস্থায় মহাপরিচালকের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ চেয়েও সাক্ষাৎ লাভে ব্যর্থ হই আমরা। মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
বিজ্ঞাপন
রোকনুজ্জামান বলেন, প্রকল্পের আত্তীকরণ বঞ্চিত ১২৪ জন কর্মচারীর ওপর নির্ভরশীল ১২৪টি পরিবার। ইতোমধ্যে এসব কর্মচারীর সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় সরকারি বা অন্য কোনো চাকরিতে প্রবেশ করারও সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে এ ১২৪টি পরিবার অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমাদের চাকরি অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হচ্ছি। তাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, রিভিউ এবং কন্টেমের রায়/আদেশের আলোকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ১২৪ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার জন্য পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি মাধব চন্দ্র বাড়ৈ।
এমএইচএন/এসএসএইচ