চসিকের দোকান বরাদ্দে দুদকের মামলা : সব আসামিকে অব্যাহতি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে করা দুর্নীতি মামলায় ২০ আসামির সবাইকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আব্দুল মজিদের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী সানোয়ার আহমেদ বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই মামলায় আরেক আসামি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। মারা যাওয়ায় আদালত তাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। এছাড়া আজ আদালত বাকি সব আসামিদেরও মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ২০০২ সালে দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি করেছিল। তদন্ত শেষে মামলায় ২০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আমরা অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করি।অভিযোগের বিষয়টি দুদক তাদের তদন্তে প্রমাণ করতে পারেনি। তাই অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান নেই। শুনানি শেষে আদালত সবাইকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীর মুরাদপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান বরাদ্দ দেন সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী। বরাদ্দের আগে পত্রিকায় টেন্ডার ও যাচাইবাছাই ছাড়া দোকানগুলো বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০০২ সাল নগরীর কোতোয়ালী থানায় দুদক মামলাটি দায়ের করে।
বিজ্ঞাপন
মামলায় তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী প্রথমে আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন। ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর মহিউদ্দিন চৌধুরীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলাটির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। পরে ২০১২ সালের রিট পিটিশন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এরপর মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৭ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা গেলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালত। ২০২১ সালে ২০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। চারজন মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কেএম/এমএইচএস