সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। একইসঙ্গে দু’দেশ কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গঠনে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাবনার ওপর একটি যৌথ সমীক্ষায় জোর দিয়েছে।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংককে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয়পক্ষ বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে সম্মত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র সচিব থানি থংপাকদি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা, সংযোগ, কারিগরি, কনস্যুলার, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার উন্নয়নের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। এছাড়া নতুন নতুন ক্ষেত্র সম্প্রসারণসহ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাও করা হয়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়।

বৈঠকে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত ও সুসংহত করতে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া পুনরায় সক্রিয় করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। উভয়পক্ষ নিজ নিজ দেশে বায়ো-সার্কুলার গ্রিন ইকোনমিক মডেল এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং উন্নয়নের জন্য আরও সমন্বয় তৈরি করতে সম্মত হয়।

এছাড়া উভয়পক্ষ যৌথ কমিশন এবং যৌথ বাণিজ্য কমিটির পরবর্তী বৈঠক এবং পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক পরামর্শক সভা পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনে সম্মত হয়।

আলোচনায় উঠে আসে রোহিঙ্গা ইস্যুটি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ঢাকার পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে উত্থাপিত হয়। একইসঙ্গে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘস্থায়ী সংকট সমাধানে তার দায়বদ্ধতা পূরণে মিয়ানমারকে রাজি করাতে থাইল্যান্ডের জোরালো ভূমিকা চাওয়া হয়। এ বিষয়ে আসিয়ান ফোরামকে কাজে লাগাতে আহ্বান করেছে বাংলাদেশ।

বৈঠক শেষে দুই পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে লোগো উন্মোচন করেন।

এনআই/এমএইচএস