বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন উজাড় হলে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কিছু থাকবে না। এজন্য আমাদের সবাইকে বন রক্ষা করতে হবে। বনের উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে।  

আজ সোমবার বন ভবনের হৈমন্তী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ বছরের বন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বন সংরক্ষণের অঙ্গীকার, টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার।’  

মন্ত্রী বলেন, বন অধিদপ্তরের সকল শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। যতো নিয়োগ হবে ততোই বনের জন্য মঙ্গল। শূন্য পদ যাতে খালি না থাকে সেই জন্য প্রথমে অর্থ মন্ত্রণালয়কে বলবো, যদি না হয় তবে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। বনভূমি রক্ষা করতে হবে। যেখানে খালি জায়গা সেখানে গাছ লাগাতে হবে। সরকার পরিবেশ রক্ষা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তিনি বলেন, বন ধ্বংস করে যাতে উন্নয়ন না করা হয়, সেই দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বন রক্ষা করে দেশের উন্নয়ন না করলে তা টেকসই হবে না। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে বন ও পরিবেশ- বিষয়ক চিন্তাধারায় টেকসই উন্নয়নের ধারণা শক্তিশালী হয়েছে । বন রক্ষা করেই উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি পরিবেশ বিষয়ক নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। বনজ সম্পদ রক্ষা ও বন্য প্রাণী হত্যা রোধে বন বিভাগকে কাজ করতে হচ্ছে। আবার বনের প্রতিবেশ ব্যবস্থাকেও রক্ষা করতে হচ্ছে।

উপমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে। অনেকে সুন্দরবন ধ্বংস করে ব্যবহার করছে। এটা যদি ধ্বংস হয় তবে দেশের ক্ষতি ও যারা সুন্দরবন থেকে সুফলভোগ করেন তাদের ক্ষতি।

পরিবেশ , বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বন বিভাগ বর্তমানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বন ব্যবস্থাপনা করছে । সামাজিক বন, ম্যানগ্রোভ বন, প্রাকৃতিক বন, উপকূলীয় বন, প্রটেকটেড এরিয়াসহ সমগ্র ব্যবস্থাপনার জন্য পৃথক পৃথক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। যার ফল হিসেবে আমরা দেখতে পেয়েছি, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বন বিভাগ সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন নির্ভর জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্ত করেছে। বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। বিশ্বের আরও ১৯৫টি দেশের সঙ্গে আমরাও এই অঙ্গীকার করেছি যে, আগামী ১৫ বছর ধরে আমরা টেকসই উন্নয়নের পথে হাঁটব। 

এসআর/এনএফ