সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি
দুদকের সুপারিশ প্রত্যাশা অনুযায়ী আমলে নেওয়া হয় না : চেয়ারম্যান
সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধ বা দমনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী আমলে নেওয়া হয় না বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ।
সোমবার (২১ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব স্ব স্ব মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের। তারা করছে কি না এটা দেখার প্রশাসনিক এখতিয়ার দুদকের নেই। আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ করেছি, এ সুপারিশগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিশ্চিত করতে তারা যেন কাঠামো তৈরি করে দেয়। কারণ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলেন, আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, সে প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। এটা আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে লিখেছি। তারা যেন বিষয়টি সমন্বয় করে, সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছি।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে একই বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে সুপারিশ বাস্তবায়নে আমরা চাপ দিতে পারি না। সেটা দুদকের আগ্রাসন বা ক্ষমতার অপব্যবহার হয়ে যাবে। তবে আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকলে তা যদি আমাদের কাছে উপস্থাপন করেন, তাহলে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারি, বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
দুর্নীতি কমেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অবস্থান থেকে এ বিষয়টি বলা সহজ নয়। এটা আন্দাজ করতে হবে, আমাদের এমন কোনো মেকানিজম নেই। আমাদের গবেষণা সেলও নেই যে তার ওপর ভিত্তি করে মন্তব্য করব। সে কারণে আন্দাজ করা ছাড়া উপায় নেই।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৯(১) ধারা অনুযায়ী প্রতি বছর রাষ্ট্রপতির কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হয় দুদককে। যদিও কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব ও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতায় গত বছর প্রতিবেদন দাখিল করেনি সংস্থাটি। তাই রোববার ২০২০ ও ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন একসঙ্গে পেশ করেছে সংস্থাটি।
এবারের বার্ষিক প্রতিবেদনে সরকারের পাঁচটি খাতে দুর্নীতির উৎস ও তার প্রতিরোধে সুপারিশমালা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) জহিরুল হক, মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান, মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, পরিচালক মীর জয়নুল আবেদন শিবলী, সৈয়দ ইকবাল হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেকসহ কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/জেডএস