মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সই করা সংশোধিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দেন।

এর আগে জাতীয় পর্যায়ে ‘গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ’ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রথমে ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২ এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে সরকার। 

১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে তালিকা থেকে সাহিত্যে মনোনীত মো. আমির হামজাকে বাদ দেওয়া হয়। 

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস, মরহুম সিরাজুল হক।

চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম ও স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন পুরস্কার পাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাবে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট। এবার সঙ্গে যুক্ত হলো বিদ্যুৎ বিভাগ।

স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।  

স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে মনোনীত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।

এসএইচআর/আরএইচ