‘রাজশাহীতে সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যা’ প্রসঙ্গে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেছেন, সেচের পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশও তদন্ত করছে, তারা ফৌজদারি ব্যবস্থা নেবে। 

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কৃষিসচিব এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। ‘সেচের পানি সময়মতো না পাওয়ার কারণ ও কৃষকের বিষপান’ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের চিহ্নিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটি এরইমধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে। 

পেঁয়াজ আমদানির প্রসঙ্গে কৃষিসচিব বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে থাকি। এখন পর্যন্ত কৃষক পেঁয়াজের ভালো দাম পাচ্ছে। অন্যদিকে, সামনে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম যাতে না বাড়ে, সেটিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তাই, আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে আমরা নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি, কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তদন্ত কমিটি গঠন

সেচের পানি না পেয়ে দুই কৃষকের আত্মহত্যা করার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলুকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। 

৪ সদস্যের কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- রাজশাহীর জেলা প্রশাসক, বিএডিসি'র (নাটোর) নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং বিএমডিএর (নওগাঁ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সমশের আলী। 

এসএইচআর/জেডএস