গ্রেপ্তার ছিনতাই চক্রের সদস্যরা/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

চট্টগ্রামে অভিনব পদ্ধতিতে ছিনতাই করা একটি চক্রের আট সদস্যকে দেশীয় এলজিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই চক্রটি গ্রুপ আকারে চলে, তারপর টার্গেট নির্ধারণ করে ভিকটিমকে ঘিরে ধরত। শেষে কয়েক সেকেন্ডেই মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিত। আবার খালি জায়গা পেলে অস্ত্র ঠেকিয়েও ছিনতাই করত চক্রটি। চট্টগ্রামে এরকম আরও চারটি ছিনতাইকারী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোড থেকে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, কার্তুজ, তিনটি স্টিলের টিপ ছোরা ও মিনি কাটারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ছিনতাই হওয়া আটটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, এরকম আরও চারটি ছিনতাইকারী চক্র নগরীর বহদ্দারহাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ছিনতাই করে থাকে। তাদের গ্রেপ্তারেও পুলিশ কাজ করছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- তাজুল ইসলাম (৩৬), তুষার হোসেন (২৫), তপু (২২), হায়াত মাহমুদ জবিন (২৩), আনোয়ার হোসেন বাবু (২১), নাজমুল ইসলাম (২৮) ও জনি শাহ (৩২)। 

ওসি মহসিন আরও বলেন, নয় জনের ছিনতাইকারী গ্রুপ এটি, যারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে টার্গেট ঠিক করে সকাল-সন্ধ্যা ছিনতাই করে। বিশেষ করে বাসের যাত্রী বা ভিড় থেকে মোবাইল হাতিয়ে নেয় অভিনব পদ্ধতিতে। প্রথমে টার্গেট ঠিক করে আট জনের চক্রটি ভিকটিমকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে। পরে টার্গেট ভিকটিমের পকেট থেকে মোবাইল বা মানিব্যাগ নিয়ে নেয় কয়েক সেকেন্ডেই। মোবাইল নিয়ে এক জন ছিটকে গেলেও চক্রের সদস্যরাই ভিকটিমের সঙ্গে ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করে। আর ছিনতাই কাজ সুচারুরূপে করার জন্য সদস্যদের দায়িত্বও ভাগ করে দেওয়া থাকে। ওসি বলেন, ছিনতাই চক্রটির সদস্যরা সুযোগ বুঝে অস্ত্র ঠেকিয়েও ছিনতাই করে। দিনে কমপক্ষে পাঁচটি ছিনতাই করে এ চক্রের সদস্যরা।
 
পুলিশ সূত্র জানা গেছে, ছিনতাই করা মোবাইলগুলো চট্টগ্রাম নগরীর তামাকুমন্ডি লেনের ব্যবসায়ী আব্বাস উদ্দিন ওরফে জুয়েলের কাছে বিক্রি করে আসছিল। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

ডবলমুরিং থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে কথা হয় ছিনতাই চক্রের সদস্য তাজুল ইসলাম ও তুষার হোসেনের সাথে। তারা বলেন, দিনে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি ছিনতাই করে থাকেন। মোবাইলগুলো বিক্রি করে এক সঙ্গে বসে নেশা করেন তারা। এরপর বাকি টাকা ভাগ করে নেন। গ্রেপ্তার জনি শাহ পুলিশ সোর্স পরিচয় দিয়ে তাদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা নিতো বলেও জানিয়েছেন তাজুল ও তুষার।

গ্রেপ্তার তাজুল ইসলাম ও তুষার হোসেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় কয়েকটি করে মামলা আছে। গ্রেপ্তার আট জনসহ নয় জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা হয়েছে।

এসএসএইচ