তাজুল ইসলাম

তাজুল ইসলাম। বয়স ৩৬। বিয়ে করেছেন চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েত বাজার এলাকায়। এই সময়ে শ্বশুরবাড়ি গেছেন ১২ বার। অথচ একই সময়ে জেলে গেছেন কমপক্ষে ২০ বার! চট্টগ্রামের ছিনতাইকারী চক্রের এই হোতা দলবলসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ডবলমুরিং থানা পুলিশের কাছে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘তাজুল ইসলাম দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। চট্টগ্রামের বড় একটা ছিনতাইকারী চক্র তার নিয়ন্ত্রণে। তাকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে। জেলেও গেছে অনেকবার। আসলে শ্বশুরবাড়ির চেয়ে জেলের সঙ্গেই সখ্যতা বেশি তাজুলের।’

ডবলমুরিং থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে তাজুল ইসলামসহ আরো আট ছিনতাইকারীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- তাজুল ইসলাম (৩৬), তুষার হোসেন (২৫), তপু (২২), হায়াত মাহমুদ জবিন (২৩), আনোয়ার হোসেন বাবু (২১), নাজমুল ইসলাম (২৮) ও জনি শাহ (৩২)।  তারা অভিনব উপায়ে নগরীতে ছিনতাই করে। এদের মধ্যে তাজুল ছিনতাইয়ের অভিযোগে নগরীর কয়েকটি থানায় আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জামিন বের হয়ে আবার ছিনতাই জড়িয়ে পড়েন তিনি। 

ডবলমুরিং থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে কথা হয় ছিনতাই চক্রের প্রধান তাজুল ইসলাম সঙ্গে। তিনি জানান যে ছিনতাইয়ের টাকা দিয়ে ইয়াবা, হিরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের নেশা করেন। নেশার টাকা না থাকলেই আবার ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়েন। 

তিনি আরো জানান যে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে গেছেন মাত্র ১০ থেকে ১২ বার। আর ছিনতাই করে জেলখানায় গেছেন কমপক্ষে ২০ বার।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে অভিনব পদ্ধতিতে ছিনতাই করা একটি চক্রের আট সদস্যকে দেশীয় এলজিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই চক্রটি গ্রুপ আকারে চলে, তারপর টার্গেট নির্ধারণ করে ভিকটিমকে ঘিরে ধরত। শেষে কয়েক সেকেন্ডেই মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিত। আবার খালি জায়গা পেলে অস্ত্র ঠেকিয়েও ছিনতাই করত চক্রটি। চট্টগ্রামে এরকম আরও চারটি ছিনতাইকারী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওএফ