গত রমজানে করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে ঘরবন্দি ছিল রাজধানীর মানুষ। পরে করোনার সংক্রমণ কমায় তুলে নেওয়া হয় বিধিনিষেধ। রাজধানী এখন পুরোদমে সরব। 

রমজানে রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজটের শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। প্রথম রমজান থেকেই যানজট তীব্র রূপ নেয়। তবে আজ শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর সড়কের দৃশ্য একেবারেই ভিন্ন।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাজধানীর মূল সড়ক, অলিগলি দিনভর গেছে ফাঁকা। রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক যেমন তেজগাঁও, ফার্মগেট, আসাদগেট ও বিজয় সরণির মতো সিগনালেও চাপ নেই। অন্যান্য দিন বিকেলে ইফতারের আগে ঘরমুখী মানুষের চাপ থাকে সড়কে। আজ বিকেলে সেই চাপ নেই। 

সরেজমিনে রাজধানীর পল্টন, কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, মগবাজার, তেজগাঁও, বিজয় সরণি ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।

সড়কে কথা হয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার গুলশান অফিসে কর্মরত সোহেল মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, রমজানের প্রথম দিন থেকেই যানজট যেন নিত্যসঙ্গী৷ আজ ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলাম যানজটের ভোগান্তি বিবেচনায়। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ফার্মগেট পৌঁছে গেছি মাত্র ২৬ মিনিটে।  

তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ফুটপাতের দোকানি হায়দার আলী বলেন, করোনার বিধিনিষেধ ওঠার পর এমন দৃশ্য খুবই কমই দেখা গেছে। বিশেষ করে গত এক মাসে তেজগাঁওয়ের সড়কে যানজট, গাড়ির হর্নের শব্দ ও কোলাহলে অতিষ্ঠ। অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে রমজানে। তবে আজকের দৃশ্য ভিন্ন। সড়কে আজ যানজট নেই, চলাচলে স্বস্তি। অলিগলিও ফাঁকা।


 
ফার্মগেটের হোটেল গ্রিফেন্সের নিরাপত্তা কর্মী আওয়াল বলছেন, রোজার শুরুর দিন সকাল থেকেই এ এলাকায় সড়কে তো জায়গা মেলেই না, কখনো ফুটপাতেও চাপ বেড়ে যায়। পথচারী হাঁটে, মোটরসাইকেলও গতিতে ফুটপাতে উঠে যায়। অন্য দিনের সঙ্গে আজ মিল পাচ্ছি না। আজ সড়ক ফাঁকা। গাড়ির চাপ, পথচারীর দৌড় নেই, ফুটপাতও ফাঁকা।

রমনা ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকেই সড়কে বেড়েছে চাপ। রমজানে সে চাপ আরও বেড়েছে। কারণ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি হয় একসঙ্গে, সবাই ঘরে ফিরতে চায় একই সময়ে। যে কারণে চাপটা পড়ে সড়কে। ছুটি থাকায় আজকের চিত্র ভিন্ন। সম্ভাব্য যানজটের স্থানগুলোতে ট্রাফিক সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থেকে ডিউটি করছেন। আজকের সড়ক স্বস্তির।

জেইউ/আরএইচ