বিশ্ব বেতার দিবস আজ
বিশ্ব বেতার দিবস আজ। দিবসটির উদ্দেশ্য হল বেতারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো ও বেতারের মাধ্যমে তথ্য প্রবাহ সহজ করা। বেতারের গুরুত্ব তুলে ধরে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নতুন বিশ্ব, নতুন বেতার’।
বিশ্ব বেতার দিবস ২০২১ উপলক্ষে আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বেতার ভবন, আগারগাঁও, ঢাকায় করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, জনগণের কাছে তথ্য ও বিনোদন পৌঁছে দিতে বেতার বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যম। তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম গণমাধ্যম ‘বাংলাদেশ বেতার’। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দ্বিতীয় ফ্রন্ট হিসেবে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন ও মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বেতারের দুই হাজারের অধিক শ্রোতা-ক্লাব শ্রোতা বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো ও দেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। নতুন বিশ্বে বাংলাদেশ বেতার বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, ডেঙ্গু ও করোনা মহামারির সচেতনতা ও দুর্যোগ বিষয়ে সচেতনতামূলক তথ্য, সংবাদ, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।
বিজ্ঞাপন
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বেতার যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কৃষি উন্নয়ন, সাক্ষরতার হার বাড়ানো, শিক্ষার মানোন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমানোসহ সার্বিক উন্নয়নে বেতারের ভূমিকা অনবদ্য।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিসংগ্রামে বাংলাদেশ বেতারের অনন্য ভূমিকা সর্বজন বিদিত। তৎকালীন স্বৈরশাসকের বাধার মুখে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ৮ মার্চে বেতারে প্রচার, মুক্তিকামী বাঙালি, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, সর্বোপরি স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশ বেতার সব সময় এদেশের জনগণের পাশে থেকেছে।
বাংলাদেশ বেতার সরকারের চলমান ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ও দেশের মানুষের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসএসএইচ