শ্যামপুর খালের সীমানায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে যাচ্ছে ডিএসসিসি
সম্প্রতি শ্যামপুর খালের সীমানা এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ডিএসসিসি মেয়র
শ্যামপুর খালের বৌ বাজার অংশে খালের সীমানায় নির্মিত একটি পাঁচতলা ভবনসহ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে এ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।
তিনি জানান, শ্যামপুর খালের বৌ বাজার অংশে খালের সীমানার মধ্যে নির্মিত একটি পাঁচতলা ভবনসহ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেবেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপা। এছাড়া অভিযানে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞাপন
চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজধানীর শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন যান ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সেসময় তিনি বলেন, গত ২ জানুয়ারি থেকে আমরা ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। খাল পরিষ্কার করায় আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই যেন সব খাল পরিষ্কার করতে পারি, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারি, পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করতে পারি। আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় খালের পাশের জমি দখল হয়েছে সেগুলো অবমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে পরবর্তীতে যাতায়াতের ব্যবস্থা, হেঁটে চলা ও সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা করব। সেখানে যতটা সম্ভব নান্দনিক পরিবেশ গড়ে তুলব।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, শ্যামপুর অনেক বড় খাল, এখানে শাখা-প্রশাখা বেশি। এগুলোতে আবর্জনা-ময়লার স্তূপ হয়ে আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দীর্ঘ সময় ধরে এগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। পানি প্রবাহ বা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। সামনের কর্মযজ্ঞ অত্যন্ত দুরূহ ও ভয়াবহ পরিবেশে রয়েছে। এখানে একটি অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল রয়েছে। তাদের প্রকল্প চলমান। সেগুলোর সঙ্গে এগুলোর সংযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে অব্যবস্থাপনা ও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
মেয়র তাপস বলেন, আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করছি, তাদের খালগুলো যাতে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু স্থাপনা রয়েছে, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন, সেখানে স্লুইস গেটসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলোও যাতে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। যদিও সেগুলো অচল। সেগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর না করলে, আমরা এখনই ব্যবস্থা না নিলে, আমাদের যে লক্ষ্য আগামী বর্ষা মৌসুমে ঢাকাবাসীকে সুফল দেওয়া, জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখা, সেটা খুব কষ্টের হয়ে পড়বে।
খালের দুপাশ দখলে রাজনৈতিক মদদ থাকার কথা শোনা যায়, সেক্ষেত্রে আপনারা কি পদক্ষেপ নেবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র সেসময় বলেন, আমরা জোরালোভাবে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে মান্ডা খালের পাশে থাকা জায়গা দখলমুক্ত করেছি। খালের প্রশস্ততার জন্য সিএস জরিপে যা আছে, মানচিত্রে যা আছে, আমরা সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ জমি অবমুক্ত করব।
এএসএস/এসএসএইচ