মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম/ ছবি : ফাইল

হাওর এলাকায় আর স্বাভাবিক রাস্তাঘাট হবে না। যদি কিছু হয় তাহলে উড়াল সড়ক করা হবে। পানি প্রবাহে যাতে বাঁধা না হয় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। 

সোমবার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, আজ ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, হাওর এলাকাতে কোনো রকমের রাস্তাঘাট এখন থেকে আর করা যাবে না। এখন থেকে এলিভেটেড করতে হবে, যদি কিছু হয়। যাতে করে পানি চলাচলে বাধা না আসে। 

'সিলেটের পানিটা মূলত নামে অষ্টগ্রামের দিক দিয়ে। এখানে যে রাস্তাটা করা হয়েছে, মিঠামইন থেকে অষ্টগ্রাম, সেটাতে কোনো এফেক্ট হলো কি না, এটাও দেখতে বলা হয়েছে। প্লাস, আমরা নিজেরাও রোডস অ্যান্ড হাইওয়েকে বলেছি, এটা রিভিউ করে প্রতি আধা কিলোমিটার পরপর ১৫০ থেকে ২০০ মিটার ব্রিজ করে দেওয়া যায় কি না, সেটা নিয়ে ভাবতে। 

ওই এলাকায় বছরে প্রায় ৫ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু ১ থেকে ৬ এপ্রিল হয়েছে ১২০০ মিলিমিটারের বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উপর থেকে পানি চলে এসেছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর চাষ হয়। আজকেও ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেছি, যদি আর বৃষ্টি না হয়, তাহলে ভালো অবস্থায় থাকবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, যে বাঁধগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ফ্রুটফুল কি না বা কোয়ালিটি ঠিক আছে কি না এটা দেখতে। এ বর্ষায় তো আর কিছু করা যাবে না। আগামী বর্ষার আগে যেন এটা রিভিউ করে রিম্যাডি করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, আলোচনা হয়েছে যে নদী-নালা ও হাওরে যেখানে বেশি পলি পড়ে গেছে, সেগুলোকে পুনঃখনন করে আগামী বর্ষার আগেই প্রকল্প শুরু করে কাজ নেওয়ার জন্য। রিসেন্টলি একনেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প পাস হয়েছে, সেটি সুনামগঞ্জ থেকে আসবে, সেটিও এলিভেটেড হচ্ছে। শুধু হাওর না যেসব এলাকা লো লাইন এলাকা, সেগুলোতে যত সড়ক হবে সেগুলো এলিভেটেড হবে।

এসএইচআর/এসকেডি