ডিজিটাল সার্ভের পর আটিয়া বন আইনের খসড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম/ ছবি : ফাইল
মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য 'আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন, ২০২২' এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছিল। তবে এটিকে স্থগিত রাখা হয়েছে। আটিয়া বন নিয়ে ডিজিটাল সার্ভে হবে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত ২৮ অক্টোবর 'আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন, ২০২২' এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার পর আজ উপস্থাপন করা হয় (চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য)। এখানে ৫টি ধারা আছে। খসড়াটি নিয়ে বিস্তারিত ১ ঘণ্টার মতো আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে কিছু জিনিস দেখা হচ্ছে। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় এ বন অবস্থিত। বনের প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে সরাসরি যদি আইন করা হয়, তাহলে কোনো অসুবিধা হয় কি না, সেজন্য গত মিটিংয়েই একটা সিদ্ধান্ত ছিল। মন্ত্রিসভার তত্ত্বাবধানে একটা পর্যালোচনা করে ডিজিটাল সার্ভের ব্যবস্থা করা যায় কি না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বেশ কয়েকটি মিটিং করে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিলাম। তারা ইতোমধ্যে টেন্ডার শেষ করে এখন পারচেজ কমিটির অপেক্ষায় আছে। তারা আজ মিটিংয়ে উপস্থাপন করে বলেছে যে, পারচেজ কমিটির অনুমোদন পেলে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে আটিয়া বনকে ডিজিটাল সার্ভে করে ৪-৫ মাসের মধ্যে একটা পজিশন দাঁড় করাতে পারবে। তাহলে এক্সজেক্টলি বনের সিনারিও বোঝা যাবে।
বিজ্ঞাপন
কারণ সেখানে কিছু স্থাপনাও হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদ, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস এবং থানা- এগুলো সব আটিয়া বনের মধ্যে পড়ে গেছে। এগুলোকেও যদি সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়, আইনগত অসুবিধা হবে কি না, সেজন্য এটাকে রিভিউ করা প্রয়োজন। আগে ডিজিটাল সার্ভেটা শেষ হোক, তারপর এ আইনটা আবার উপস্থাপন করা হবে, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ভূমিমন্ত্রী এবং সচিব দুজনই ছিলেন। আমরা নিজেরাও অবহিত আছি। তারা সময় নিয়েছেন। চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে পুরো সার্ভে করে পুরো অবস্থা উপস্থাপন করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এসএইচআর/এসকেডি