সংঘর্ষের সময় যে কারণে হেলমেট পরেছিল হামলাকারীরা
নিউমার্কেটের সংঘর্ষে নিজেদের পরিচয় লুকাতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হামলাকারীরা হেলমেট পরেছিল।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
হেলমেট বাহিনীর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বারবারই বলা হচ্ছে হেলমেট বাহিনী, হেলমেট বাহিনী। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের আমরা হেলমেটের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আমাদের বলে, ঢাকা কলেজের অনেক ছাত্রই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। তারা মোটরসাইকেলের হেলমেট ব্যবহার করে ফ্রন্ট লাইনে যাচ্ছিল নিজেদের সেভ করার জন্য ও পরিচয় লুকানোর জন্য।
এদিকে নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় প্রাণ হারান কুরিয়ারকর্মী নাহিদ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ঢাকা কলেজের ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আব্দুল কাইয়ূম (২৪), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের পলাশ মিয়া (২৪) ও মাহমুদ ইরফান (২৪), বাংলা বিভাগের ফয়সাল (২৪), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. জুনায়েদ বুগদাদী (১৯)।
ডিবি জানায়, বিভিন্ন ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের শনাক্ত করা হয়। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সংঘর্ষের সময় অস্ত্রহাতে হেলমেট পরে ফ্রন্টলাইনে ছিলেন। নাহিদকে ঘিরে ধরে হামলায় সরাসরি অংশ নেন এই পাঁচ শিক্ষার্থী।
তবে ভাইরাল হওয়া আরেকটি ফুটেজে নিস্তেজ নাহিদকে কোপাতে থাকা ওই ব্যক্তিকে এখনও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ওই শিক্ষার্থীর নাম ইমন বলে প্রচার করা হলেও তার পরিচয় নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। গ্রেপ্তারের পর তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ডিবি।
গ্রেপ্তার পাঁচ জনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, 'আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলে তাদের কমিটিই নাই। দেখলাম এখানে অনেক ছাত্র ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। সুতরাং এখন ঢালাওভাবে এক পার্টির কথা বলা যাবে না।
এমএসি/এমএইচএস