পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ বাড়াতে হবে। পোশাক খাতের উপর নির্ভরতা কমিয়ে মাছ চাষের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। কারণ মাছ চাষ করে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এজন্য আমাদের খাল-বিল-পুকুরের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরেও মাছ আহরণে নজর দিতে হবে।

রোববার (১৫ মে) নগরীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মডার্ন কমার্শিয়াল প্রডাকশন অব সিবাস, প্রসপেক্টস ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড শেয়ারিং অব লেসন ফর্ম রিজিয়নাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা পোশাক রপ্তানিতে আকাশে উঠে গেছি। এর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অন্যদিকে নজর দিতে হবে। মাছ চাষ করেও বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। মাছের চাষ আরও বেশি করে করতে হবে। শুধু পুকুর ও খাল নয়, মাছ আহরণে বঙ্গোপসাগরে এবার নজর রাখতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাছ, পশু-পাখি, ফল, গাছ, ঘাস, লতাপাতা নিয়ে আপনারা গবেষণা করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সব বিষয়ে গবেষণা করতে বলেছেন। গবেষণার জন্য আমরা টাকা নিয়ে বসে আছি, চাইলেই পাবেন। তবে আমাদের কিছু ধাপ আছে এগুলো পার হয়েই গবেষণার জন্য টাকা নিতে হবে।

এম এ মান্নান বলেন, আমাদের বেশি বেশি করে গবেষণা দরকার। এই বিষয়ে প্রকল্প নিয়ে আসুন, অনুমোদন করে দেব। তবে কিছু ধাপ আছে সেগুলো আপনাদের পার হতে হবে। কারণ জনগণের টাকা চাইলেই পাওয়া যাবে না, জবাবদিহিতা আছে। সুতরাং বিধিবিধান মেনেই গবেষণার জন্য টাকা পাবেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ভেটকি মাছের সম্ভাবনা ব্যাপক। ভেটকি মাছ পুষ্টি, স্বাদ ও উচ্চমূল্যের জন্য মাছ চাষিদের কাছে আকর্ষণীয়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভেটকি চাষের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের গবেষণা দরকার। কীভাবে এটাকে মিঠা পানিতে চাষ করা যায় সেই গবেষণা করতে হবে। নিয়মিত গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া লবণাক্ত পানির স্বল্পতাও রয়েছে। ভেটকি মাছের প্রজনন এবং দ্রুত বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ত পানি অত্যাবশ্যক। এটাকে কীভাবে মিঠা পানিতে চাষ করা যায় সেই গবেষণা করতে হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মৎস্য বিজ্ঞানীরা আরও বেশি বেশি করে গবেষণা করবেন। গবেষণার জন্য টাকার অভাব হবে না। ভেটকির পাশাপাশি ইলিশও যেন মিঠা পানিতে চাষ করা যায় সেই গবেষণা করুন।

বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালা অংশ নেন  বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। 

বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে ভেটকি মাছ চাষের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার অধ্যাপক আজিজ আহমেদ ও থাইল্যান্ডের মৎস অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক সোমবন লাওপ্রাসির্ট।

এসআর/জেডএস