তামাকের ব্যবহার বন্ধে তামাকের বিরুদ্ধে আরও জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। সব পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করতে হবে। স্কুল কলেজের সামনে কোনো তামাকের দোকান ও বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যাবে না। একই সঙ্গে দেশের সব বিমানবন্দরে থাকা স্মোকিং জোন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

বুধবার (১৮ মে) রাতে কক্সবাজারের সি পার্ল রিসোর্টে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব দাবি জানান।

৩ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে জাতীয় সংসদের ৩২ জন সংসদ সদস্য, সরকারের বিভিন্ন সেক্টরের ৫ জন সরকারি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

সেমিনারে ময়মনসিংহ ৯ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। আমরা তাতে একমত। কিন্তু আমাদের গভীরে যেতে হবে। এখনও গ্রামে-গঞ্জে দোকানে সিগারেটের প্যাকেট সবার আগে থাকে। দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ধূমপানের আলাদা জায়গা আছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে কম দামে সিগারেট বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এগুলো থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের পরিবার, সমাজ থেকে তামাকবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে হবে।

ভোলা ৩ আসেনর সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, সংসদ অধিবেশনে জাতীয় সংসদের বাজেট সেশনে আমাদের আলোচনা করতে হবে। বিভিন্ন সভা সেমিনারে তামাকের বিরুদ্ধে আরও জোরালো কথা বলতে হবে। বিশেষ করে লঞ্চ, বাস, ট্রেনসহ সব পাবলিক প্লেসে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এগুলো কমিয়ে আনতে হলে অন্য কাজের পাশাপাশি এগুলো নিয়েও কাজ করতে হবে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারব।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যেন আজ সূচনা হলো। আজ এখানে বাংলাদেশের সকল সেক্টরের প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে, সেই সুযোগ তাদের আছে। সংবাদপত্রে তামাকের বিরুদ্ধে সংবাদ বাড়াতে হবে। দেশে তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে। তাহলেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 'বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং' সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করার প্রত্যয়ে আমাদের এ আয়োজন। আমরা জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করছি সকলে মিলে তামাকের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নের।

এমএইচএন/এসকেডি