কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ খাতে জাপানি বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর অন্যতম জাপান। ১৯৯২ সালের জলবায়ু-সনদ অনুসারে জাপান শুধু নিজের দেশে নয় বরং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশেরও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে নীতিগতভাবে বাধ্য। কিন্তু জাপান সরকার ও সরকারের প্রতিষ্ঠান জাইকা এবং সুমিতম মিতসুবিসি এলএনজি ও কয়লা-বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করে আমাদের যেমন বিপদে ফেলছে তেমনি মানবজাতির ক্ষতি করছে। এতে লাভ হচ্ছে জাপানের, কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের ও পৃথিবীর।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি), ক্যাব চট্টগ্রাম এবং আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোটের সদস্য সচিব হাসান মেহেদী বলেন, সুমিতম মিতসুবিসি ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ (এসএমবিসি) জাপানের বর্তমানে বাংলাদেশে দু’টি বিনিয়োগ রয়েছে। একটি সামিট গাজীপুর, ফেজ-২, ৩০০ মেগাওয়াট এইচএফও ভিত্তিক বিদ্যুৎ কোম্পানি (৩ বিলিয়ন ইউএসডি) এবং দ্বিতীয়টি রিলায়েন্স মেঘনাঘাট, ৭৫০ মেগাওয়াট এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কোম্পানি (১২৬৫ মিলিয়ন ইউএসডি)। কর্মজোটের সদস্যরা বহুদিন ধরে বাংলাদেশে এসএমবিসির এ বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়ে এলেও জাপান এখনো তাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এখন আমরা পরিবেশ নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যে আছি। আমরা এসএমবিসির শেয়ারহোল্ডারদের আহ্বান করছি- এখুনি সব গ্যাস, কয়লা এবং তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগ বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিন। বিশ্ব আপনাদের দেখছে।
বিজ্ঞাপন
আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি থামাতে হলে পৃথিবীর গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা শূন্যতে নামিয়ে আনতে হবে। গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের সবচেয়ে বড় কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। এই সময়সীমার মধ্যে শূন্য নির্গমন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের হাতে আর সময় নেই। তাই, আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার সুপারিশ অনুসারে এখনই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই জাপানকে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধ করার অঙ্গীকার ও তার বাস্তবসম্মত প্রতিফলন আনতে হবে।
এনএফ