ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।  

শুক্রবার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কনস্যুলেট জানায়, অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বালাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্কে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কমিউনিটির সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, মিডিয়া ব্যক্তিবর্গসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম শুরুতে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন। কনসাল জেনারেল আরও বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি প্রদান করায় এটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক উৎসবের রূপ নিয়েছে।

কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে তাদের অবদান চিরস্মরণীয়। কনসাল জেনারেল পহেলা বৈশাখের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য  এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা চেতনা ও দর্শন, বিশ্ব শান্তি, সাম্য-ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও কার্যকরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, গ্রাম-বাংলার লোকজ গান ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খ্যাতনামা শিল্পী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহিদ হাসানের দরদী কণ্ঠের পরিবেশনায় কনস্যুলেটে এক মনোরম আবহ তৈরি হয়।

এনআই/এনএফ