ডিএনসিসির ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ থেকে পাওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিআইএস ম্যাপিং ও সুনির্দিষ্ট স্থানে কীটনাশক প্রয়োগ, বর্জ্য অপসারণ এবং জলাশয়ের কচুরিপানা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে করপোরেশনের পদক্ষেপ জানাতে গিয়ে সোমবার (৬ জুন) রাতে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদিন সকালে টেমিফস কীটনাশক দিয়ে লার্ভি সাইডিং এবং বিকেলে ম্যালাথিয়নের মাধ্যমে এডাটিসাইডিং করা হচ্ছে। বিশেষ কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিভিন্ন বাসা-বাড়ির পানির মিটার বক্স ও জমে থাকা পানিতে নোভালিউরন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হবে। এটি তিন মাস পর্যন্ত মশার লার্ভা প্রতিরোধে কার্যকর থাকবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার শতভাগ ড্রেন, নালা, খাল ও জলাশয়ে গাপ্পি মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করে সংস্থাটি।

মকবুল হোসাইন জানান, কিউলেক্স মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত নর্দমা ও জলাশয়ে ম্যালেরিয়া অয়েল-বি স্প্রে করা হচ্ছে। সম্ভাব্য উৎসস্থল ও বাসাবাড়িতে মশার বিস্তার রোধে নিয়মিত নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা-কারাদণ্ড প্রদানের পাশাপাশি নিয়মিত মামলা রুজু করছেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী মশার প্রজননস্থলে বিশেষ মশকবিরোধী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতামূলক লিফলেট, স্টিকার, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি বিতরণ করছে আমাদের টিম।

এএসএস/এমএইচএস