রাজধানীর একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার ১৫২ পিস ইয়াবাসহ ৬ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (দক্ষিণ)।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল জানান, ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাসুদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুব্রতের নেতৃত্বে সূত্রাপুর, মতিঝিল, ডেমরা, খিলগাঁও সার্কেলের সমন্বয়ে একটি অপারেশনাল টিম থেকে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু করে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটনের ভাটারা, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা ও ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ভাটারা থানাধীন নর্দ্দা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ক- ৪২/৬, তিন ভাই জেনারেল স্টোর দোকানের সামনে থেকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্না পালং এলাকায় নুর আহমদের ছেলে আশরাফ উদ্দীনকে (৩৭) পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা বহনকালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় অপারেশনাল টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজা পালং এলাকায় মোহাম্মদ জাফর (৪৩) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের অপর একটি অপারেশনাল টিম ঢাকা মেট্রোপলিটনের উত্তরা ও ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালায়।

অভিযানকালে শনিবার ভোর ৫টায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া চৌরাস্তা সংলগ্ন এলাকা থেকে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবাসহ নাদিয়া আক্তার শান্তা (২৩) এবং পারভীন আক্তারকে (২৮) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ভালুকিয়া রত্না পালং এলাকার বাসিন্দা।

এছাড়া ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের খিলগাঁও সার্কেলের একটি অপারেশনাল টিম বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক-এ ১ নং রোড থেকে ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়কালে ১৫২ পিস ইয়াবাসহ জিল্লুর রহমান, মো. দিপু এবং মো. জসিম নামে তিন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।  গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাসুদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ইয়াবা বহন করে ঢাকার ভাটারা, উত্তরা ও আশুলিয়া এলাকায় একটি মাদক বিক্রির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্যদের আটক করতে অভিযান চলমান আছে।

জেইউ/এসকেডি