রাজধানীর খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় ইফাত শরীফ মিশু (৩২) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মৃতের স্বামী নুরে আলম স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে গেছেন।

সোমবার (১৩ জুন) বিকেল পৌনে চারটার দিকে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি আগেই মারা গেছেন।

মৃতের খালু ফিরোজ আলম অভিযোগ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইফাতের সঙ্গে ছয় বছর আগে নুরে আলমের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বিয়ের পর থেকেই সে বিভিন্ন মেয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এরপর তিনি আরও একটি বিয়ে করেন। এরপর তিনি কয়েকবার ওই মেয়েকে ডিভোর্স দেন। এরপর আবার ওই মেয়ের কাছে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল।

তিনি বলেন, আজ দুপুরের নুরে আলম ফোন করে জানায় ইফাত গলায় ফাঁস দিয়েছে। তাকে উদ্ধার করে কাকরাইলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আমরা সেখানে যাওয়ার পর নুরে আলম ইফাতকে রেখে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমরা ইফাতকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান ইফাত আগেই মারা গেছেন।

মৃতের খালু বলেন, নুরে আলম বলেছে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে কিন্তু আমাদের সেটা বিশ্বাস হয় না। কারণ তার যে কার্যকলাপ সেটা দেখে আমাদের মনে হয়েছে তিনি ইফাতকে হত্যা করেছেন। তিনি যদি হত্যা নাই করেন তাহলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলেন কেন। বর্তমানে তারা খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় থাকত। আমরা নূরে আলমের বিরুদ্ধে মামলা করব।

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, খিলগাঁও থেকে এক নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল এ নিয়ে আসা হয়েছে। আনার পরে চিকিৎসক জানান সে মারা গেছে। আমরা খিলগাঁও থানাকে বিষয়টি জানিয়েছি।

এসএএ/আইএসএইচ