পাহাড় ধসের শঙ্কায় আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ পরিবার
পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে কোয়াড পি-ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফিরোজশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াই ডব্লিউ সি এ স্কুল ও হাজি হযরত (রা.) আলিয়া মাদ্রাসায় এখন পর্যন্ত ৩২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৮ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার প্লাবন কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষজনের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল থেকেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে শনিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রবল বজ্রপাত ও ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধস হতে পারে বলে সতর্ক করেছে।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ (শনিবার) বিকেল ৫টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও প্রবল বজপাতসহ ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতি ভারী (৮৯ মি.মি. বা তার অধিক) বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসে চার জন নিহত হয়েছেন।
কেএম/জেডএস