গাবতলী হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি
ঈদের বাকি আর মাত্র দিন কয়েক। মুসলমানদের কাছে ঈদ মানেই উৎসব-আনন্দ হলেও ঈদুল আজহার প্রধান অনুসঙ্গ আসলে পশু কোরবানি। কোরবানি ঈদ ঘিরে এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে মোট ১৮টি পশুর হাট বসেছে রাজধানীাতে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় নানা ধরনের নানা জাতের গরু উঠেছে হাটটিতে। ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন, কথা বলছেন, দাম জানছেন। কেউ কেউ গরু কিনেও ফিরছেন। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের এখনো চার দিন বাকি। যার ফলে বিক্রি সেভাবে শুরু হয়নি। এখন শুধু ছোট সাইজের গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
গাবতলী হাটে বগুড়া থেকে দশটি দেশি জাতের গরু এনেছেন ইউনুস বেপারী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার এই গরুগুলোর ওজন ১৫ থেকে ১৬ মণ করে। প্রতিটি গরুর জন্য আমি দাম চাচ্ছি ৮ লাখ টাকা করে। তবে ক্রেতারা সাড়ে ৪ বা ৫ লাখ পর্যন্ত বলেই থেমে যাচ্ছেন। গত তিন দিনে দেখেছি হাটে ছোট গরুর চাহিদাই বেশি। মাঝে মধ্যে বড় গরু বিক্রি হচ্ছে। তবে আগামী কয়েকদিনে এসব গরুও বিক্রি হবে।
বিজ্ঞাপন
কোরবানির পশু বিক্রেতা বাবলু ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে মাঝারি সাইজের ১৭টি গরু নিয়ে এসেছি। গরুগুলোর দাম চাচ্ছি ২ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ক্রেতারা শুধু দাম শোনেন, কেনার আগ্রহ খুব একটা দেখান না। এবার বাজারে পশু খাদ্যের দাম বেশি। তাই গরুর দামও বেশি।
• আরও পড়ুন : দেড় থেকে আড়াই মণের আকর্ষণীয় ভুট্টিগরু গাবতলীতে
মেহেরপুর থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি গরু এনেছেন পলাশ। তিনি বলেন, গরুগুলোর দাম আমরা চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ক্রেতারা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। একটা গরুতে তো আর পাঁচ লাখ টাকা লাভ করা হয় না। তাই ক্রেতারা আরেকটু বাড়ালে আমরা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেব।
গাবতলী হাট থেকে মাঝারি সাইজের গরু কিনে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন শোভন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে বড় গরুর সংখ্যা বেশি। দামও গতবারের চেয়ে বেশি। তবে ছোট গরুও আছে। আমি গরুটি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কিনেছি। গত বছর এই সাইজের গরু কিনেছিলাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়।
• আরও পড়ুন : নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় ‘কালু’, দাঁতও দেখায়
মিরপুরের আরেক ক্রেতা হিমু ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিবারই গাবতলী হাট থেকে আমরা কোরবানির গরু কিনে থাকি। তবে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার দামটা একটু বেশি মনে হয়েছে।
এমএইচএন/এনএফ