ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লোহাগড়ায় হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর, মন্দিরে অগ্নিসংযোগের মতো ঘৃণ্য অপরাধ বারবার সংঘটিত হচ্ছে। কেউ এমনটি করলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেছে মানবাধিকার কমিশন।

পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা-লুটপাটের পরিস্থিতি এড়ানোর ক্ষেত্রে কারো গাফিলতি আছে কি না এবং ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের যথাযথ ভূমিকা ছিল কি না, তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।

মানবাধিকার কমিশন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

যোগাযোগ করা হলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লোহাগড়ায় হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত সংবাদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। দুটি বিষয়ে তদন্ত করে কমিশনকে জানানোর জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পত্র দিয়েছেন চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।

বিষয়গুলো হলো- ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কটূক্তিকারীকে দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তার ও হামলা-লুটপাটের পরিস্থিতি এড়াতে কারো গাফিলতি আছে কি না এবং মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট নিবৃত্তে পুলিশের যথাযথ ভূমিকা ছিল কি না।

অন্যদিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নড়াইলের লোহাগড়ায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে উত্তেজিত জনতা স্থানীয় একটি বাজারের ৬টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট এবং একটি মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।

কমিশন মনে করে, বাংলাদেশের মতো একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কোনো ধর্মকে অবমাননা করার অধিকার যেমন কারো নেই, তেমনি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করার অধিকারও কাউকে দেওয়া হয়নি। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ বারবার সংঘটিত হচ্ছে। কেউ ধর্মকে অবমাননা করলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া সমীচীন।

জেইউ/জেডএস