প্রধানমন্ত্রীকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গুরুত্বের দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর সফরটি অগ্রাধিকারে রাখা হবে।
রোববার (২৪ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ সফররত জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক গভীর। এ সম্পর্কে আমরা কমপ্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ ক্যাটাগরিতে ফেলি। করোনাকালীন সময়ে দ্বিপাক্ষিক সফর কম হয়েছে। এটি উচ্চ পর্যায়ের একটি সফর। সামনে আমাদের দিক থেকেও সফর হবে। তারা (জাপান) প্রধানমন্ত্রীকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উপযুক্ত সময়ে সামনের দিনে সেটা হবে।
কবে নাগাদ এ সফর হতে পারে-শাহরিয়ার আলমের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সময়টা এখন বলতে পারব না। এটা রিসেন্ট আমন্ত্রণ। অবশ্যই এটি একটি প্রায়োরিটি ভিজিট হবে। প্রধানমন্ত্রী জাপানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
জাপানের মন্ত্রী হোন্ডা তারোর বাংলাদেশ সফরের কারণ ও আলোচনার বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এ সফরের মূল উদ্দেশ্য মেট্রোরেলে যারা কাজ করেছেন তারা হলি আর্টিজেন বেকারি আক্রমণে প্রাণ দিয়েছেন। তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং স্মৃতিটাকে ধরে রাখার জন্য তাদের জন্য একটা মনুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। সেটা দেখতে তারা এসেছেন। এটা ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কীভাবে আমরা কাজ করতে পারি সেটা আলোচনা হয়েছে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, সামনের দিনে আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয় আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি অনুরোধ করেছি, এলডিসি গ্রাজুয়েশনে জাপান যেভাবে সহায়তা করেছে সামনের দিনে ২০২৬ সালের পরও যেন শুল্কমুক্ত সুবিধা অন্ততপক্ষে ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এটা তারা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক, বিশেষ করে জাতিসংঘের মতো বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মে কীভাবে বাংলাদেশ-জাপান আরও কাজ করতে পারে সেটা আলোচনায় এসেছে। জাতিসংঘের একটা রিফর্ম নিয়ে আলোচনা চলছে। মেম্বার দেশগুলো এবং সিকিউরিটি কাউন্সিলেরও, সে বিষয়গুলোতে আমরা একে অপরকে সহায়তা করব। এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সামনের দিনে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাংলাদেশে বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনে আরও বৃহৎ প্রকল্পে জাপান সহায়তা করবে। এ বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করেছি।
জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা বলেন, আমি এ সফরে মাতারবাড়ি প্রকল্প, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেছি। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এ বছর বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর। আমাদের যে গভীর অংশীদারিত্ব ও বন্ধুত্ব রয়েছে, সেটাকে আরও কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এনআই/আইএসএইচ