শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় নর্দান মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা
অনুমোদন না থাকায় স্থানান্তরের (মাইগ্রেশন) দাবিসহ ২ দফা দাবি জানিয়েছেন রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা এক মানববন্ধন করে এসব দাবি জানায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এসে নর্দান মেডিকেল বাংলাদেশ ডেন্টাল অ্যান্ড মেডিকেল কাউন্সিলের অনুমোদন হারায়। তবু প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। অথচ এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
নর্দান মেডিকেলের পঞ্চম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী সাইরা জাহান বলেন, প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করা নিয়ে শঙ্কিত। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়েছে। এখানে ৩২ জন নেপালী শিক্ষার্থীও আছে। তারাও বিপাকে পড়েছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের রাতের বেলায় হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
আরেক শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মেডিকেল কলেজ তিন বছরের মাথায় নানা অনিয়মে কারণে ২০০৪ সালে বন্ধ হয়। এরপর ২০০৬ সালে আবার চালু হয়। কিন্তু, অনিয়ম থেমে নেই।
অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ চলে ভাড়া করা রোগী ও ভাড়া করা শিক্ষক দিয়ে। এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি বন্ধ আছে প্রায় ১ বছর ধরে। যখন হাসপাতাল চালু ছিল, তখন সব আসন প্রায় শূন্য ছিল। কলেজ ভিজিটের সময় ভাড়া করে রোগী আনা হতো। এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, সিসিইউ, এনআইসিইউ নেই। পরীক্ষার জন্যে ভাড়া করে রোগী নিয়ে আসা হয় এবং ভিজিটের সময়ে কর্তৃপক্ষ রোগী ভাড়া করে আনে এবং অধিকাংশই থাকে সাজানো রোগী। ক্লিনিক্য্ল বিষয়ে কোনো স্থায়ী বিভাগীয় প্রধান, সিএ রেজিস্টার নেই। এমনকি নিজস্ব কোনো পরীক্ষার কেন্দ্র নেই।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, গত ১৭ দিন ধরে তারা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। বিএমডিসি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মাইগ্রেশনের ব্যাপারে মৌখিক আশ্বাস পেলেও তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
তাদের দুটি দাবি হচ্ছে— ১ম বর্ষ থেকে ৫ম বর্ষ পর্যন্ত প্রায় ২৫০জন দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ সরকারি হস্তক্ষেপে অনতিবিলম্বে অন্যান্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করা এবং মেডিকেলে ভর্তির সময় আমাদের যে কাগজপত্রগুলো কলেজে দেওয়া আছে, সেগুলাতে বিনাশর্তে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া।
এমএইচএন/এসএম