জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিপেটার পর তাদের বিরুদ্ধে করা পুলিশের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে আক্রান্ত ছাত্রনেতাদের নামেই মামলা দায়ের করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গত ৫ আগস্ট রাতে সরকার অযৌক্তিকভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে। সেদিন থেকেই প্রগতিশীল সংগঠনগুলো মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছে নানাভাবে। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো ৭ আগস্ট বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সমাবেশে পুলিশ বর্বরোচিতভাবে হামলা চালায়। এতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ, সহ-সভাপতি লাবনী বন্যা, ঢাকা নগরের স্কুল সম্পাদক ফেরদৌস বাঁধনসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোটা দেশবাসী পুলিশের এই তাণ্ডব প্রত্যক্ষ করেছেন। এরপর পুলিশ ফেরদৌস বাঁধন, অনিক রয়, ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, মশিউর রহমান রিচার্ড, সাদেকুল ইসলাম সোহেলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ২১ জনের নামেই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

তারা বলেন, সরকার পুলিশকে আন্দোলন দমনের জন্য লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে। বিরোধী মতকে দমনের জন্য পুলিশি হামলা ও পরে মামলার আশ্রয় নেয়। আওয়ামী সরকার দেশে একটি ফ্যাসিবাদী শাসন পরিচালনা করছে এবং চূড়ান্ত জনবিচ্ছিন্ন ও জনবিরোধী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ফলে পুলিশ, বিভিন্ন বাহিনী ও আমলাতন্ত্র দিয়ে দেশ চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সময়ের দাবি। সকল প্রগতিমনা মানুষ, ছাত্র—জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই দুঃশাসন প্রতিরোধ করতে হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অবিলম্বে ছাত্র নেতাদের ওপর হামলার বিচার করতে হবে এবং ছাত্র নেতাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে।

এইচআর/ওএফ